hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৬০৯
অধ্যায়- ৩৭ : আহযাবের যুদ্ধে মুনাফিকদের কর্মকান্ড
তারা বিজয়ের ওয়াদাকে ধোঁকা মনে করল :

وَاِذْ يَقُوْلُ الْمُنَافِقُوْنَ وَالَّذِيْنَ فِيْ قُلُوْبِهِمْ مَّرَضٌ مَّا وَعَدَنَا اللهُ وَرَسُوْلُهٗۤ اِلَّا غُرُوْرًا

স্মরণ করো, যখন মুনাফিকরা এবং যাদের অন্তরে রোগ ছিল তারা বলেছিল, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল আমাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা প্রতারণা ছাড়া আর কিছু নয়। (সূরা আহযাব- ১২)

একদল যুদ্ধক্ষেত্র ছেড়ে পালিয়ে গেল, আরেক দল মিথ্যা বাহানা জুড়ে পালাতে চাইল :

وَاِذْ قَالَتْ طَّآئِفَةٌ مِّنْهُمْ يَاۤ اَهْلَ يَثْرِبَ لَا مُقَامَ لَكُمْ فَارْجِعُوْاۚ وَيَسْتَاْذِنُ فَرِيْقٌ مِّنْهُمُ النَّبِيَّ يَقُوْلُوْنَ اِنَّ بُيُوْتَنَا عَوْرَةٌؕ وَمَا هِيَ بِعَوْرَةٍۚ اِنْ يُّرِيْدُوْنَ اِلَّا فِرَارًا

তাদের মধ্য থেকে একদল বলেছিল, হে ইয়াসরিববাসী! এখানে তোমাদের টিকে থাকার মতো কোন স্থান নেই, অতএব তোমরা ফিরে যাও। আর তাদের মধ্যে একদল নবীর কাছে অব্যাহতি চেয়ে বলেছিল, আমাদের বাড়িঘর অরক্ষিত। প্রকৃতপক্ষে তা অরক্ষিত ছিল না, বরং তারা পালানোর ইচ্ছা পোষণ করেছিল। (সূরা আহযাব- ১৩)

অথচ তারা পালাবে না বলে ওয়াদা করেছিল :

وَلَقَدْ كَانُوْا عَاهَدُوا اللهَ مِنْ قَبْلُ لَا يُوَلُّوْنَ الْاَدْبَارَؕ وَكَانَ عَهْدُ اللهِ مَسْئُوْلًا

অথচ ইতোপূর্বে তারাই আল্লাহর সাথে শপথ করেছিল যে, তারা পিছু হটবে না। (জেনে রেখো) আল্লাহর সাথে কৃত অঙ্গীকারের জবাবদিহি করতেই হবে। (সূরা আহযাব- ১৫)

কতক লোক বাড়িতে বসে অন্যদেরকে যুদ্ধে যেতে বাধা দেয় :

قَدْ يَعْلَمُ اللهُ الْمُعَوِّقِيْنَ مِنْكُمْ وَالْقَآئِلِيْنَ لِاِخْوَانِهِمْ هَلُمَّ اِلَيْنَاۚ وَلَا يَاْتُوْنَ الْبَاْسَ اِلَّا قَلِيْلًا

আল্লাহ খুব ভালো করে জানেন যে, তোমাদের মধ্যে কারা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে বাধা দেয় এবং কারা তাদের ভাইদেরকে বলে, ‘আমাদের কাছে এসো’; তারা খুব কমই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। (সূরা আহযাব- ১৮)

শত্রুপক্ষ তাদেরকে ডাক দিলে তারা ঠিকই সেদিকে চলে যেত :

وَلَوْ دُخِلَتْ عَلَيْهِمْ مِّنْ اَقْطَارِهَا ثُمَّ سُئِلُوا الْفِتْنَةَ لَاٰتَوْهَا وَمَا تَلَبَّثُوْا بِهَاۤ اِلَّا يَسِيْرًا

আর যদি শত্রুরা নগরীর চারদিক থেকে প্রবেশ করে বিদ্রোহের জন্য তাদেরকে প্ররোচিত করত, তবে তারা তৎক্ষণাৎ তাই করত এবং তারা সেথায় খুব অল্পই অবস্থান করত। (সূরা আহযাব- ১৪)

তারা মুসলিমদেরকে সহযোগিতা করতে কৃপণতা করে :

اَشِحَّةً عَلَيْكُمْؕ فَاِذَا جَآءَ الْخَوْفُ رَاَيْتَهُمْ يَنْظُرُوْنَ اِلَيْكَ تَدُوْرُ اَعْيُنُهُمْ كَالَّذِىْ يُغْشٰى عَلَيْهِ مِنَ الْمَوْتِ

তারা তোমাদের প্রতি কার্পণ্য করে। আর যখন কোন ভয়ের কারণ সামনে আসে, তখন তুমি তাদেরকে দেখতে পাবে যে, তারা মৃত্যুর ভয়ে অচেতন ব্যক্তির ন্যায় চোখ উল্টিয়ে তোমার দিকে তাকিয়ে আছে। (সূরা আহযাব- ১৯)

বিপদ চলে গেলে গনিমতের লোভে ধারাল কথা বলে :

فَاِذَا ذَهَبَ الْخَوْفُ سَلَقُوْكُمْ بِاَلْسِنَةٍ حِدَادٍ اَشِحَّةً عَلَى الْخَيْرِؕ اُولٰٓئِكَ لَمْ يُؤْمِنُوْا فَاَحْبَطَ اللهُ اَعْمَالَهُمْؕ وَكَانَ ذٰلِكَ عَلَى اللهِ يَسِيْرًا

অতঃপর যখন সে ভয় চলে যায়, তখন তারা ধনসম্পদের লোভে তীব্র ভাষায় তোমাদেরকে আক্রমণ করে। মূলত তারাই ঈমান আনেনি; অতএব আল্লাহ তাদের আমলসমূহ ব্যর্থ করে দিয়েছেন। আর এরূপ করা আল্লাহর জন্য খুবই সহজ। (সূরা আহযাব- ১৯)

তারা দূরে বসে থেকে যুদ্ধের খবর শুনার অপেক্ষা করে :

يَحْسَبُوْنَ الْاَحْزَابَ لَمْ يَذْهَبُوْاۚ وَاِنْ يَّاْتِ الْاَحْزَابُ يَوَدُّوْا لَوْ اَنَّهُمْ بَادُوْنَ فِى الْاَعْرَابِ يَسْاَلُوْنَ عَنْ اَنْۢبَآئِكُمْؕ وَلَوْ كَانُوْا فِيْكُمْ مَّا قَاتَلُوْاۤ اِلَّا قَلِيْلًا

তারা ধারণা করে যে, এখনও সম্মিলিত শত্রুবাহিনী চলে যায়নি। আর যদি সে বাহিনী পুনরায় এসে পড়ে, তবে তারা মনে করবে যে, কত ভালো হতো যদি তারা মরুবাসীদের মধ্য থেকে তোমাদের সংবাদ জেনে নিত! (তাছাড়া) তারা যদি তোমাদের সাথে থেকেও যেত, তবুও তারা খুব অল্পসংখ্যক লোকই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করত। (সূরা আহযাব- ২০)

তাদের প্রতি সতর্কবাণী :

قُلْ لَّنْ يَّنْفَعَكُمُ الْفِرَارُ اِنْ فَرَرْتُمْ مِّنَ الْمَوْتِ اَوِ الْقَتْلِ وَاِذًا لَّا تُمَتَّعُوْنَ اِلَّا قَلِيْلًا قُلْ مَنْ ذَا الَّذِيْ يَعْصِمُكُمْ مِّنَ اللهِ اِنْ اَرَادَ بِكُمْ سُوْٓءًا اَوْ اَرَادَ بِكُمْ رَحْمَةً ؕ وَلَا يَجِدُوْنَ لَهُمْ مِّنْ دُوْنِ اللهِ وَلِيًّا وَّلَا نَصِيْرًا

আপনি বলে দিন, তোমরা যদি মৃত্যু অথবা হত্যার ভয়ে পলায়ন কর, তবে সে পলায়ন তোমাদের কোন উপকারে আসবে না; তখন তোমাদেরকে খুব অল্পই ভোগ করতে দেয়া হবে। বলুন, যদি তিনি (আল্লাহ) তোমাদের কোন ক্ষতি করতে ইচ্ছা করেন, তবে এমন কে আছে যে তোমাদেরকে আল্লাহ হতে রক্ষা করতে পারবে? অথবা যদি তিনি তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করতে ইচ্ছা করেন (তবে এমন কে আছে, যে তাঁর অনুগ্রহকে রোধ করতে পারে)? এমতাবস্থায় তারা আল্লাহ ব্যতীত নিজেদের জন্য অন্য কোন বন্ধু বা কোন সাহায্যকারীও পাবে না। (সূরা আহযাব- ১৬, ১৭)

নবী ﷺ এর আদর্শকে গ্রহণ করার নির্দেশ :

لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِيْ رَسُوْلِ اللهِ اُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِّمَنْ كَانَ يَرْجُوا اللهَ وَالْيَوْمَ الْاٰخِرَ وَذَكَرَ اللهَ كَثِيْرًا

তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও কিয়ামতের দিনকে ভয় করে এবং আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করে, নিশ্চয় আল্লাহর রাসূলের মধ্যে তাদের জন্য রয়েছে উত্তম আদর্শ। (সূরা আহযাব- ২১)

ব্যাখ্যা : যে প্রেক্ষাপটে এ আয়াতটি নাযিল হয়েছে সে দৃষ্টিতে বিচার করলে বলা যায়, যারা আহযাব যুদ্ধে পিঠ বাঁচানোর নীতি অবলম্বন করছিল, তাদেরকে শিক্ষা দেয়ার জন্য নবী ﷺ এর কর্মধারাকে এখানে আদর্শ হিসেবে পেশ করা হয়েছে। তাদেরকে বলা হচ্ছে, তোমরা ছিলে ঈমান, ইসলাম ও রাসূলের আনুগত্যের দাবীদার। তোমাদের দেখা উচিত ছিল, তোমরা যে রাসূলের অনুসারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়েছ তিনি এ অবস্থায় কোন্ ধরনের নীতি অবলম্বন করেছিলেন। যদি কোন দলের নেতা নিজেই নিরাপদ থাকার নীতি অবলম্বন করেন, বিপদের সময় নিজেই পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করতে থাকেন, তাহলে তার অনুসারীদের পক্ষ থেকে এ দুর্বলতাগুলোর প্রকাশ যুক্তিসংগত হতে পারে। কিন্তু এখানে তো রাসূল ﷺ এর অবস্থা এই ছিল যে, অন্যদের কাছে তিনি যে কষ্ট স্বীকার করার জন্য দাবী জানান তিনি নিজেও সে কষ্ট স্বীকার করার ব্যাপারে সবার সাথে শরীক ছিলেন। এমন কোন কষ্ট ছিল না, যা অন্যরা সহ্য করেছিল কিন্তু তিনি করেননি। খন্দক খননকারীদের দলে তিনি নিজে শামিল ছিলেন। ক্ষুধা ও অন্যান্য কষ্ট সহ্য করার ক্ষেত্রে একজন সাধারণ মুসলিমের সাথে তিনি সমভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। অবরোধকালে তিনি সর্বক্ষণ যুদ্ধের ময়দানে হাজির ছিলেন এবং এক মুহূর্তের জন্যও শত্রুদের সামনে থেকে সরে যাননি। তিনি নিজের সন্তান ও পরিবারবর্গের হেফাজতের জন্য এমন কোন বিশেষ ব্যবস্থা করেননি, যা অন্য মুসলিমদের জন্য করেননি। যে মহান উদ্দেশ্যে তিনি মুসলিমদের কাছ থেকে ত্যাগ ও কুরবানীর দাবী করছিলেন, সে উদ্দেশ্যে সবার চেয়ে বেশি হারে নিজের সবকিছু ত্যাগ করতে প্রস্তুত ছিলেন। তাই যে কেউ তাঁর অনুসরণের দাবীদার ছিল, তাকে এ আদর্শ দেখে তাঁরই অনুসরণ করা উচিত ছিল। পরিবেশ ও পরিস্থিতি অনুযায়ী এ ছিল আয়াতের মূলকথা। কিন্তু এর শব্দগুলো ব্যাপক অর্থবোধক। কাজেই এ আয়াতের দাবী হচ্ছে, মুসলিমরা সকল বিষয়েই তাঁর (রাসূল ﷺ এর) জীবনকে নিজেদের জন্য আদর্শ মনে করবে এবং সে অনুযায়ী নিজেদের চরিত্র ও জীবন গড়ে তুলবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন