hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৭৪
অধ্যায়- ৫ : তাওহীদের দাবী
ইবাদাতকে আল্লাহর জন্য খাস করতে হবে :

فَاَقِمْ وَجْهَكَ لِلدِّيْنِ حَنِيْفًاؕ فِطْرَتَ اللهِ الَّتِيْ فَطَرَ النَّاسَ عَلَيْهَاؕ لَا تَبْدِيْلَ لِخَلْقِ اللهِؕ ذٰلِكَ الدِّيْنُ الْقَيِّمُ وَلٰكِنَّ اَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُوْنَ مُنِيْبِيْنَ اِلَيْهِ وَاتَّقُوْهُ وَاَقِيْمُوا الصَّلَاةَ وَلَا تَكُوْنُوْا مِنَ الْمُشْرِكِيْنَ

অতএব তুমি একনিষ্ঠভাবে নিজেকে দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত রাখো; এটাই আল্লাহর প্রকৃতি, যার উপর তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহর সৃষ্টির কোন পরিবর্তন নেই। এটাই সরলসঠিক দ্বীন, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা জানে না। অতএব তোমরা তাঁর অভিমুখী হও এবং তাঁকে ভয় করো, সালাত কয়েম করো এবং তোমরা মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না। (সূরা রূম- ৩০, ৩১)

هُوَ الْحَيُّ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ فَادْعُوْهُ مُخْلِصِيْنَ لَهُ الدِّيْنَؕ اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ

তিনি চিরঞ্জীব, তিনি ব্যতীত (সত্য) কোন মা‘বুদ নেই; সুতরাং তোমরা তাঁর ইবাদাতে একনিষ্ঠ হয়ে তাঁকেই আহবান করো। যাবতীয় প্রশংসা জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহরই প্রাপ্য। (সূরা মু’মিন- ৬৫)

اِنَّاۤ اَنْزَلْنَاۤ اِلَيْكَ الْكِتَابَ بِالْحَقِّ فَاعْبُدِ اللهَ مُخْلِصًا لَّهُ الدِّيْنَ

নিশ্চয় আমি এ কিতাব তোমার কাছে যথাযথভাবেই নাযিল করেছি। অতএব নিষ্ঠার সাথে তুমি আল্লাহরই ইবাদাত করো। (সূরা যুমার- ২)

কেবল আল্লাহর কাছেই সাহায্য চাইতে হবে :

اِيَّاكَ نَعْبُدُ وَاِيَّاكَ نَسْتَعِيْنُ

আমরা শুধুমাত্র আপনারই ইবাদাত করি এবং আপনারই নিকট সাহায্য প্রার্থনা করি। (সূরা ফাতেহা- ৫)

কেবল আল্লাহর উপর ভরসা করতে হবে :

اِنْ يَّنْصُرْكُمُ اللهُ فَلَا غَالِبَ لَكُمْۚ وَاِنْ يَّخْذُلْكُمْ فَمَنْ ذَا الَّذِيْ يَنْصُرُكُمْ مِّنْ ۢبَعْدِهٖؕ وَعَلَى اللهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُؤْمِنُوْنَ

যদি আল্লাহ তোমাদেরকে সাহায্য করেন তাহলে কোন ব্যক্তিই তোমাদেরকে পরাজিত করতে পারবে না। আর তিনিই যদি তোমাদেরকে পরিত্যাগ করেন, তাহলে এমন কোন শক্তি আছে কি, যে তোমাদেরকে সাহায্য করতে পারবে? কাজেই মুমিনদের উচিত আল্লাহর উপরই ভরসা করা। (আলে ইমরান- ১৬০)

فَاِنْ تَوَلَّوْا فَقُلْ حَسْبِيَ اللهُ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَؕ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ

অতঃপর তারা যদি মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে তুমি বলে দাও যে, আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, তিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ্ নেই। আমি তাঁরই উপর নির্ভর করি এবং তিনি মহান আরশের অধিপতি। (সূরা তাওবা- ১২৯)

আল্লাহকে ভালোবাসতে হবে :

وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَّتَّخِذُ مِنْ دُوْنِ اللهِ اَنْدَادًا يُّحِبُّوْنَهُمْ كَحُبِّ اللهِؕ وَالَّذِيْنَ اٰمَنُوْاۤ اَشَدُّ حُبًّا لِّلّٰهِ

আর মানুষের মধ্যে এমন কিছু লোক আছে, যারা আল্লাহর পরিবর্তে অন্যকে সমকক্ষ হিসেবে গ্রহণ করে। তারা তাদেরকে আল্লাহকে ভালোবাসার ন্যায় ভালোবাসে। অপরদিকে যারা ঈমান এনেছে, আল্লাহর প্রতি তাদের ভালোবাসা এর চেয়ে দৃঢ়তর। (সূরা বাক্বারা- ১৬৫)

আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতে হবে :

يَاۤ اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا كُلُوْا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ وَاشْكُرُوْا لِلّٰهِ اِنْ كُنْتُمْ اِيَّاهُ تَعْبُدُوْنَ

হে ঈমানদারগণ! আমি তোমাদেরকে রিযিকস্বরূপ যা দান করেছি সেই পবিত্র বস্তুসমূহ হতে খাও এবং আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো, যদি তোমরা তাঁরই ইবাদাত করে থাক। (সূরা বাক্বারা- ১৭২)

কেবল আল্লাহকেই সিজদা করতে হবে :

وَمِنْ اٰيَاتِهِ اللَّيْلُ وَالنَّهَارُ وَالشَّمْسُ وَالْقَمَرُؕ لَا تَسْجُدُوْا لِلشَّمْسِ وَلَا لِلْقَمَرِ وَاسْجُدُوْا لِلّٰهِ الَّذِيْ خَلَقَهُنَّ اِنْ كُنْتُمْ اِيَّاهُ تَعْبُدُوْنَ

তাঁর নিদর্শনাবলির মধ্যে রয়েছে রাত ও দিন, সূর্য ও চন্দ্র। তোমরা সূর্যকে সিজদা করো না এবং চন্দ্রকেও (সিজদা করো) না; বরং সিজদা করো সেই আল্লাহকে, যিনি এগুলো সৃষ্টি করেছেন; যদি তোমরা তাঁরই ইবাদাত করে থাক। (সূরা হা-মীম সাজদা- ৩৭)

আল্লাহর জন্যই সালাত আদায় করতে হবে :

اِنَّنِيْۤ اَنَا اللهُ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّاۤ اَنَاْ فَاعْبُدْنِيْ وَاَقِمِ الصَّلَاةَ لِذِكْرِيْ

আমিই আল্লাহ, আমি ছাড়া দ্বিতীয় কোন ইলাহ্ নেই। সুতরাং তোমরা আমারই ইবাদাত করো এবং আমার স্মরণে সালাত প্রতিষ্ঠা করো। (সূরা ত্বা-হা- ১৪)

আল্লাহকেই ভয় করতে হবে :

وَقَالَ اللهُ لَا تَتَّخِذُوْاۤ اِلٰهَيْنِ اثْنَيْنِؕ اِنَّمَا هُوَ اِلٰهٌ وَّاحِدٌۚ فَاِيَّايَ فَارْهَبُوْنِ

আল্লাহ বলেন, তোমরা দুই ইলাহ্ গ্রহণ করো না, তিনিই তো একমাত্র ইলাহ। সুতরাং তোমরা আমাকেই ভয় করো। (সূরা নাহল- ৫১)

তাঁকে ছাড়া অন্যকে ভয় করা যাবে না :

وَلَهٗ مَا فِى السَّمَاوَاتِ وَالْاَرْضِ وَلَهُ الدِّيْنُ وَاصِبًاۚ اَفَغَيْرَ اللهِ تَتَّقُوْنَ

আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে তা তাঁরই এবং নিরবচ্ছিন্ন আনুগত্য তাঁরই প্রাপ্য। এরপরও কি তোমরা আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে ভয় করবে? (সূরা নাহল- ৫২)

আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করতে হবে :

فَاِلٰهُكُمْ اِلٰهٌ وَّاحِدٌ فَلَهٗۤ اَسْلِمُوْاؕ وَبَشِّرِ الْمُخْبِتِيْنَ

তোমাদের ইলাহ্ একজনই, সুতরাং তাঁরই নিকট আত্মসমর্পণ করো এবং বিনীতদেরকে সুসংবাদ প্রদান করো। (সূরা হজ্জ- ৩৪)

ব্যাখ্যা : এর অর্থ হচ্ছে, অহংকার ও দাম্ভিকতা পরিহার করে আল্লাহর সামনে অক্ষমতা ও বিনয় প্রকাশ করা। তাঁর দাসত্বে একনিষ্ঠ হয়ে যাওয়া এবং তাঁর ফায়সালায় তথা বিপদাপদ ও সুখ-শান্তি ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রেই তাঁর উপর সন্তুষ্ট থাকা।

আল্লাহর বিধান মেনে চলতে হবে :

اِتَّبِعُوْا مَاۤ اُنْزِلَ اِلَيْكُمْ مِّنْ رَّبِّكُمْ وَلَا تَتَّبِعُوْا مِنْ دُوْنِه ۤ اَوْلِيَآءَؕ قَلِيْلًا مَّا تَذَكَّرُوْنَ

তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হতে তোমাদের নিকট যা অবতীর্ণ হয়েছে তোমরা তার অনুসরণ করো এবং তাঁকে ছাড়া অন্য কোন অভিভাবকের অনুসরণ করো না। তোমরা খুব অল্পই উপদেশ গ্রহণ করে থাক। (সূরা আ‘রাফ- ৩)

গোটা জীবনকে আল্লাহর জন্য উৎসর্গ করতে হবে :

قُلْ اِنَّ صَلَاتِيْ وَنُسُكِيْ وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِيْ لِلّٰهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ لَا شَرِيْكَ لَهٗۚ وَبِذٰلِكَ اُمِرْتُ وَاَنَاْ اَوَّلُ الْمُسْلِمِيْنَ

বলো, আমার সালাত, আমার ইবাদাত, আমার জীবন ও আমার মরণ সবই জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহরই উদ্দেশ্যে (নিবেদিত)। তাঁর কোন শরীক নেই এবং আমি এজন্যই আদিষ্ট হয়েছি; আর আমিই প্রথম মুসলিম। (সূরা আন‘আম- ১৬২, ১৬৩)

ব্যাখ্যা : মানুষ যেসব পদ্ধতিতে আল্লাহ ছাড়া অন্যের দাসত্ব করে সেগুলোকে একমাত্র আল্লাহর জন্য নির্ধারিত করে দেয়াই হচ্ছে ইবাদাতের ক্ষেত্রে একত্ববাদের অন্যতম মৌলিক দাবী। যেমন, রুকূ করা, সিজদা করা, আর্থিক নযরানা পেশ করা, রোযা রাখা, কুরবানী করা, কেবল তাকেই ভয় করা, তারই আনুগত্য করা, নির্দ্বিধায় তার আইন ও বিধান মেনে চলা ইত্যাদি কাজকর্মসমূহকে শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট করা। অতঃপর তার সাথে এসব বিষয়ে অন্য কাউকে শরীক না করা। কেননা এগুলো একমাত্র আল্লাহর জন্যই নির্দিষ্ট; এতে অন্য কেউ অংশীদার হতে পারে না। তাছাড়া সকল নবী ও রাসূল মানবজাতিকে এ পথেই আহবান করে গেছেন। যদিও তাদের মধ্যে আমলের পদ্ধতিগত পার্থক্য ছিল, কিন্তু সকলের মূল উদ্দেশ্য ছিল একই।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন