hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১৪১
অধ্যায়- ৪ : শ্রোতাদের অবস্থা
দাওয়াত পৌঁছার সাথে সাথে মানুষ দু’দলে বিভক্ত হয়ে যায় :

قَالَ الْمَلَاُ الَّذِيْنَ اسْتَكْبَرُوْا مِنْ قَوْمِهٖ لِلَّذِيْنَ اسْتُضْعِفُوْا لِمَنْ اٰمَنَ مِنْهُمْ اَتَعْلَمُوْنَ اَنَّ صَالِحًا مُّرْسَلٌ مِّنْ رَّبِّهٖؕ قَالُوْاۤ اِنَّا بِمَاۤ اُرْسِلَ بِهٖ مُؤْمِنُوْنَ قَالَ الَّذِيْنَ اسْتَكْبَرُوْاۤ اِنَّا بِالَّذِيْۤ اٰمَنْتُمْ بِهٖ كَافِرُوْنَ

তার সম্প্রদায়ের দাম্ভিক প্রধানরা সে সম্প্রদায়ের দুর্বল ঈমানদারদেরকে বলল, তোমরা কি জান যে, সালেহ তার প্রতিপালকের পক্ষ হতে প্রেরিত? তারা বলল, তার প্রতি যা প্রেরিত হয়েছে আমরা তাতে বিশ্বাস স্থাপন করি। তখন অহংকারীরা বলল, তোমরা যা বিশ্বাস কর আমরা তা অস্বীকার করি। (সূরা আ‘রাফ- ৭৫, ৭৬)

অধিকাংশ মানুষ সদুপদেশ দানকারীদেরকে পছন্দ করে না :

فَتَوَلّٰى عَنْهُمْ وَقَالَ يَا قَوْمِ لَقَدْ اَبْلَغْتُكُمْ رِسَالَةَ رَبِّيْ وَنَصَحْتُ لَكُمْ وَلٰكِنْ لَّا تُحِبُّوْنَ النَّاصِحِيْنَ

অতঃপর তিনি (সালেহ আঃ) এ কথা বলে তাদের জনপদ হতে বের হয়ে গেলেন যে, হে আমার সম্প্রদায়! আমি আমার প্রতিপালকের পয়গাম তোমাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছি এবং আমি তোমাদেরকে উপদেশ দিয়েছি, কিন্তু তোমরা তো উপদেশ দাতাদেরকে পছন্দ কর না। (সূরা আ‘রাফ- ৭৯)

গাফিল লোকেরা সঠিক পথে না এসে বাঁকা পথে চলতে চায় :

وَاِنْ يَّرَوْا سَبِيْلَ الرُّشْدِ لَا يَتَّخِذُوْهُ سَبِيْلًاۚ وَاِنْ يَّرَوْا سَبِيْلَ الْغَيِّ يَتَّخِذُوْهُ سَبِيْلًاؕ ذٰلِكَ بِاَنَّهُمْ كَذَّبُوْا بِاٰيَاتِنَا وَكَانُوْا عَنْهَا غَافِلِيْنَ

তারা সৎপথ দেখলেও সেটাকে পথ হিসেবে গ্রহণ করবে না; কিন্তু তারা ভ্রান্ত পথ দেখলে সেটাকে পথ হিসেবে গ্রহণ করবে। কারণ তারা আমার নিদর্শনসমূহকে অস্বীকার করেছে; আর সে সম্বন্ধে তারা ছিল গাফিল। (সূরা আ‘রাফ- ১৪৬)

তাদের চক্ষু খোলা থাকলেও অন্তর মৃত :

اَفَلَمْ يَسِيْرُوْا فِى الْاَرْضِ فَتَكُوْنَ لَهُمْ قُلُوْبٌ يَّعْقِلُوْنَ بِهَاۤ اَوْ اٰذَانٌ يَّسْمَعُوْنَ بِهَاۚ فَاِنَّهَا لَا تَعْمَى الْاَبْصَارُ وَلٰكِنْ تَعْمَى الْقُلُوْبُ الَّتِيْ فِى الصُّدُوْرِ

তারা কি জমিনে ভ্রমণ করেনি? তাহলে তারা জ্ঞানবুদ্ধিসম্পন্ন হৃদয় ও স্মৃতিশক্তিসম্পন্ন শ্রবণের অধিকারী হতে পারত। বস্তুত চক্ষু তো অন্ধ নয়, বরং অন্ধ হচ্ছে বক্ষস্থিত হৃদয়। (সূরা হজ্জ- ৪৬)

ব্যাখ্যা : শ্রবণ কয়েক ধরনের হতে পারে। এক ধরনের শ্রবণ হচ্ছে, পশু-পাখির মতো শ্রবণ। এ ধরনের শ্রবণের মাধ্যমে ব্যক্তি শ্রবণ করে ঠিকই, কিন্তু উক্ত শ্রবণ থেকে কোনকিছু অনুধাবন করতে পারে না। এ অবস্থায় তাকে উপদেশ দেয়া পশু-পাখি ও জীবজন্তুকে উপদেশ দেয়ার সমান হয়ে যায়। আবার আরেক ধরনের শ্রবণ আছে, যার মধ্যে অর্থের দিকে মনোনিবেশ থাকে এবং তাতে এ প্রবণতাও থাকে যে, যুক্তিসঙ্গত কথা হলে মেনে নেয়া হবে। যারা কোন প্রকার বদ্ধ ধারণা বা অন্ধ বিশ্বাসে আক্রান্ত থাকে এবং যারা আগে থেকেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে নেয় যে, নিজের উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া আকীদা-বিশ্বাস ও পদ্ধতিসমূহের বিরুদ্ধে এবং নিজের প্রবৃত্তির আশা-আকাঙ্ক্ষা ও আগ্রহ বিরোধী কথা যত যুক্তিসঙ্গতই হোক না কেন তা মেনে নেবে না; তারা সবকিছু শুনেও আসলে কিছুই শোনে না। তেমনিভাবে যারা দুনিয়ায় পশুর মতো উদাসীন জীবন-যাপন করে, চারদিকে বিচরণ করা ছাড়া আর কিছুতেই যাদের আগ্রহ নেই অথবা যারা প্রবৃত্তির চাহিদার পেছনে এমন পাগলের মতো দৌড়ায় যে, তারা নিজেরা যা কিছু করছে তা ন্যায় বা অন্যায় হওয়ার কথা চিন্তা করে না- এ ধরনের লোকদের কান বধির হয় না কিন্তু অন্তর বধির হয়।

কিছু মানুষের অন্তর পাথরের চেয়েও কঠিন :

ثُمَّ قَسَتْ قُلُوْبُكُمْ مِّنْ ۢبَعْدِ ذٰلِكَ فَهِيَ كَالْحِجَارَةِ اَوْ اَشَدُّ قَسْوَةًؕ وَاِنَّ مِنَ الْحِجَارَةِ لَمَا يَتَفَجَّرُ مِنْهُ الْاَنْهَارُؕ وَاِنَّ مِنْهَا لَمَا يَشَّقَّقُ فَيَخْرُجُ مِنْهُ الْمَآءُؕ وَاِنَّ مِنْهَا لَمَا يَهْبِطُ مِنْ خَشْيَةِ اللهِؕ وَمَا اللهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُوْنَ

এরপরও তোমাদের হৃদয় কঠিন হয়ে গেল, তা পাথর কিংবা তদপেক্ষাও কঠিন। কতক পাথর এমনও আছে, যা হতে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত হয় এবং কতক পাথর এরূপও আছে, যা ফেটে যাওয়ার পর তা হতে পানি নির্গত হয়। আবার কতক পাথর এমনও আছে, যা আল্লাহর ভয়ে ধ্বসে পড়ে। সুতরাং তোমরা যা কর, আল্লাহ সে সম্পর্কে অমনোযোগী নন। (সূরা বাক্বারা- ৭৪)

দাওয়াত শুনে সাড়া দিতে হবে এবং আমলও করতে হবে :

يَاۤ اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْاۤ اَطِيْعُوا اللهَ وَرَسُوْلَهٗ وَلَا تَوَلَّوْا عَنْهُ وَاَنْتُمْ تَسْمَعُوْنَ

হে মুমিনগণ! আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করো এবং তোমরা যখন তার কথা শ্রবণ কর, তখন তা হতে মুখ ফিরিয়ে নিয়ো না। (সূরা আনফাল- ২০)

যারা সাড়া দেয় না তাদের দৃষ্টান্ত পশুর সাথে :

وَمَثَلُ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا كَمَثَلِ الَّذِيْ يَنْعِقُ بِمَا لَا يَسْمَعُ اِلَّا دُعَآءً وَّنِدَآءًؕ صُمٌّ ۢبُكْمٌ عُمْيٌ فَهُمْ لَا يَعْقِلُوْنَ

যারা কুফরী করেছে তাদের দৃষ্টান্ত ঐসব ব্যক্তির ন্যায়, যাদেরকে আহবান করা হলে শুধু চিৎকার ও শব্দ ব্যতীত অন্য কিছুই শুনে না- তারা বধির, মূর্খ ও অন্ধ। কাজেই তারা বুঝতে পারে না। (সূরা বাক্বারা- ১৭১)

ব্যাখ্যা : এ উপমাটির দু’টি দিক রয়েছে-

(এক) তাদের অবস্থা সেই নির্বোধ প্রাণীদের মতো, যারা এক একটি পালে বিভক্ত হয়ে কোনকিছু না বুঝেই নিজেদের রাখালদের হাঁক-ডাকের পেছনে চলতে থাকে।

(দুই) তাদেরকে আহবান করা ও তাদের কাছে দ্বীনের দাওয়াত প্রচারের সময় মনে হতে থাকে যেন নির্বোধ জন্তু-জানোয়ারদেরকে আহবান জানানো হচ্ছে- যারা কেবল আওয়াজ শুনতে পায় কিন্তু কী বলা হচ্ছে তা কিছুই বুঝতে পারে না।

অনেক লোক আছে, যারা তাদের নিজেদের শয়তানী প্রবৃত্তি ও পথভ্রষ্টকারী নেতাদের ইশারায় চোখ বন্ধ করে চলছে। অথচ তারা জানে না যে, তাদেরকে কোথায় হাঁকিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে- কল্যাণের দিকে, না ধ্বংসের দিকে। এ ক্ষেত্রে তাদের অবস্থা গরু-ছাগলের সাথে তুলনীয়।

তাদের অবস্থান পশুর চেয়েও নীচে নেমে আসে :

وَلَقَدْ ذَرَأْنَا لِجَهَنَّمَ كَثِيْرًا مِّنَ الْجِنِّ وَالْاِنْسِ لَهُمْ قُلُوْبٌ لَّا يَفْقَهُوْنَ بِهَا وَلَهُمْ اَعْيُنٌ لَّا يُبْصِرُوْنَ بِهَا وَلَهُمْ اٰذَانٌ لَّا يَسْمَعُوْنَ بِهَاؕ اُولٰٓئِكَ كَالْاَنْعَامِ بَلْ هُمْ اَضَلُّؕ اُولٰٓئِكَ هُمُ الْغَافِلُوْنَ

আমি তো বহু জিন ও মানবকে জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেছি। তাদের হৃদয় আছে কিন্তু তারা তা দ্বারা উপলব্ধি করে না, তাদের চক্ষু আছে কিন্তু তারা তা দ্বারা দেখে না এবং তাদের কর্ণ আছে কিন্তু তারা তা দ্বারা শ্রবণ করে না। তারা পশুর ন্যায়, বরং তারা (পশুর চেয়েও) অধিক বিভ্রান্ত এবং তারাই গাফিল। (সূরা আ‘রাফ- ১৭৯)

ব্যাখ্যা : এর অর্থ এটা নয় যে, আমি তাদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করার জন্যই সৃষ্টি করেছিলাম এবং তাদেরকে সৃষ্টি করার সময় এ সংকল্প করেছিলাম যে, তাদেরকে জাহান্নামের ইন্ধনে পরিণত করব। বরং এর অর্থ হচ্ছে, আমি তো তাদেরকে হৃদয়, মস্তিষ্ক, কান, চোখ সবকিছুসহ সৃষ্টি করেছিলাম। কিন্তু এ বোকারা এগুলোকে যথাযথভাবে ব্যবহার করেনি। ফলে তারা নিজেদের অসৎকাজের কারণে জাহান্নামের ইন্ধনে পরিণত হয়েছে। চরম দুঃখ প্রকাশ ও আক্ষেপ করার জন্য মানুষের ভাষায় যে ধরনের বাকরীতির প্রচলন রয়েছে, এখানেও সেই একই ধরনের বাকরীতি গ্রহণ করা হয়েছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন