hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৩০০
অধ্যায়- ২ : পৃথিবী
আল্লাহ পৃথিবীকে প্রশস্ত করেছেন :

وَهُوَ الَّذِيْ مَدَّ الْاَرْضَ وَجَعَلَ فِيْهَا رَوَاسِيَ وَاَنْهَارًا

তিনিই পৃথিবীকে বিস্তৃত করেছেন এবং এতে পর্বত ও নদী স্থাপন করে দিয়েছেন। (সূরা রা‘দ- ৩)

পৃথিবীকে তৈরি করেছেন বিছানাস্বরূপ :

وَالْاَرْضَ فَرَشْنَاهَا فَنِعْمَ الْمَاهِدُوْنَ

আর আমি পৃথিবীকে বিছিয়ে দিয়েছি, সুতরাং আমি কতই না সুন্দর বিস্তারকারী। (সূরা যারিয়াত- ৪৮)

পৃথিবীকে বসবাসের উপযোগী করেছেন :

اَللهُ الَّذِيْ جَعَلَ لَكُمُ الْاَرْضَ قَرَارًا وَّالسَّمَآءَ بِنَآءً

আল্লাহই তোমাদের জন্য পৃথিবীকে করেছেন বাসোপযোগী এবং আকাশকে করেছেন ছাদস্বরূপ। (সূরা মু’মিন- ৬৪)

وَالْاَرْضَ وَضَعَهَا لِلْاَنَامِ

তিনি পৃথিবীকে স্থাপন করেছেন সৃষ্টজীবের জন্য। (সূরা আর রহমান- ১০)

ব্যাখ্যা : পৃথিবী বিচিত্র ধরনের সৃষ্টির আবাসস্থল। বৈজ্ঞানিক সমতা ও সামঞ্জস্যতার মাধ্যমে এ গ্রহটিকে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। তার বিস্তারিত বিষয়াবলি সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করলে মানুষ বিস্মিত না হয়ে পারে না। সে অনুভব করতে থাকে, এমন ভারসাম্য একজন জ্ঞানী, সর্বজ্ঞ ও পূর্ণ শক্তিসম্পন্ন সত্তার ব্যবস্থাপনা ছাড়া প্রতিষ্ঠিত থাকতে পারে না। এ ভূগোলটি মহাশূন্যে ঝুলছে। কারো উপর ভর দিয়ে অবস্থান করছে না। কিন্তু এ সত্ত্বেও এর মধ্যে কোন কম্পন নেই। পৃথিবীর কোথাও মাঝে মধ্যে সীমিত পর্যায়ে ভূমিকম্প হলেও তার যে ভয়াবহ চিত্র আমাদের সামনে আসে তাতে গোটা পৃথিবী যদি কম্পনের শিকার হতো তাহলে এখানে বসবাস করা সম্ভবপর হতো না। এ গ্রহটির একটি দিক নিয়মিতভাবে সূর্যের সামনে আসে আবার পেছনে চলে যায়। এর ফলে দিনরাত্রি সৃষ্টি হয়। যদি এর একটি দিক সবসময় সূর্যের দিকে ফেরানো থাকত এবং অন্য দিকটা সবসময় আড়ালে থাকত তাহলে এখানে কোন প্রাণী বসবাস করতে পারত না। কারণ একদিকের সার্বক্ষণিক শৈত্য ও আলোহীনতা উদ্ভিদ ও প্রাণীর জন্মলাভের উপযোগী হতো না এবং অন্যদিকের প্রচন্ড উত্তাপ তাকে উদ্ভিদ ও প্রাণীহীন করে দিত। এ ভূমন্ডলের ৫০০ মাইল উপর পর্যন্ত বাতাসের একটি স্তর দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছে। উল্কা পতনের ভয়াবহ প্রভাব থেকে তা পৃথিবীকে রক্ষা করে। অন্যথায় প্রতিদিন কোটি কোটি উলকাপিন্ড সেকেন্ডে ৩০ মাইল বেগে পৃথিবীতে আঘাত হানত। ফলে এখানে যে ধ্বংসলীলা চলত তাতে মানুষ, পশুপাখী, গাছপালা কিছুই জীবিত থাকত না। এ বাতাসই তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, সমুদ্র থেকে মেঘ উঠিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করে এবং মানুষ, পশু ও উদ্ভিদের জন্য প্রয়োজনীয় গ্যাসের যোগান দেয়। এ বাতাস না হলে পৃথিবী উপযোগী অবস্থানস্থলে পরিণত হতে পারত না। এ ভূমন্ডলের ভূত্বকের কাছাকাছি বিভিন্ন জায়গায় খনিজ ও বিপুল পরিমাণ পানির ভান্ডার রেখে দেয়া হয়েছে। এ ধরনের ব্যবস্থাপনা ছাড়া এখানে জীবনের কোন সম্ভাবনা ছিল না। আবার এ পানি, বাতাস এবং পৃথিবীতে অন্যান্য যেসব জিনিস পাওয়া যায় সেগুলোকে একত্র করে রাখার জন্য অত্যন্ত উপযোগী মধ্যাকর্ষণশক্তি সৃষ্টি করা হয়েছে। এ মধ্যাকর্ষণশক্তি যদি কম হতো, তাহলে বাতাস ও পানি উভয়কে এখানে আটকে রাখা সম্ভব হতো না এবং তাপমাত্রা এত বেশি বেড়ে যেত যে, এখানে টিকে থাকা কঠিন হয়ে যেত। এ মধ্যাকর্ষণ শক্তি যদি বেশি হতো, তাহলে বাতাস অনেক বেশি ঘন হয়ে যেত, তার চাপ অনেক বেশি হয়ে যেত, ভূপৃষ্ঠের খুব কম এলাকাই বসবাসযোগ্য হতো। আর ভারীত্বের আকর্ষণ অনেক বেশি হলে মানুষ ও পশুর শারীরিক দৈর্ঘ্য-প্রস্থ কম হতো কিন্তু তাদের ওজন এত বেড়ে যেত যে তাদের পক্ষে চলাফেরা করা কঠিন হয়ে যেত। তাছাড়া এ গ্রহটিকে সূর্য থেকে জনবসতির সবচেয়ে উপযোগী একটি বিশেষ দূরত্বে রাখা হয়েছে। যদি এ দূরত্ব বেশি হতো, তাহলে সূর্য থেকে সে কম উত্তাপ লাভ করত এবং শীত অনেক বেশি হতো। আবার যদি দূরত্ব কম হতো তবে অনেক তাপমাত্রা থাকত। তখন পৃথিবী নামের এ গ্রহটি আর মানুষের মতো সৃষ্টির বসবাসের উপযোগী থাকত না। এগুলো হচ্ছে পৃথিবীতে বাসোপযোগী হওয়ার কয়েকটি দিক মাত্র। এগুলোর কারণে ভূপৃষ্ঠ তার বর্তমান মানব প্রজাতির জন্য অবস্থানস্থলে পরিণত হয়েছে। বুদ্ধিমান ব্যক্তিমাত্রই এসব বিষয় সামনে রেখে চিন্তা-ভাবনা করলে এক মুহূর্তের জন্যও এ কথা ভাবতে পারে না যে, কোন পূর্ণ জ্ঞানী স্রষ্টার পরিকল্পনা ছাড়া এসব উপযোগিতা ও ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। আর এ কথাও ধারণা করতে পারে না যে, এ মহাসৃষ্টির পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং একে বাস্তবে রূপদান করার ব্যাপারে কোন দেব-দেবী বা জিন অথবা নবী-ওলী কিংবা ফেরেশতার হাত আছে।

পৃথিবীতে অনেক পথ তৈরি করেছেন :

هُوَ الَّذِيْ جَعَلَ لَكُمُ الْاَرْضَ ذَلُوْلًا فَامْشُوْا فِيْ مَنَاكِبِهَا وَكُلُوْا مِنْ رِّزْقِهٖؕ وَاِلَيْهِ النُّشُوْرُ

তিনিই তো তোমাদের জন্য জমিনকে চলাচলের উপযোগী করেছেন। অতএব তোমরা এর দিগ-দিগন্তে বিচরণ করো এবং তাঁর দেয়া রিযিক হতে আহার করো। মূলত তোমাদের প্রত্যাবর্তন তো তাঁরই দিকে। (সূরা মুলক- ১৫)

وَاللهُ جَعَلَ لَكُمُ الْاَرْضَ بِسَاطًا لِتَسْلُكُوْا مِنْهَا سُبُلًا فِجَاجًا

আল্লাহ তোমাদের জন্য ভূমিকে করেছেন বিস্তৃত, যাতে তোমরা এর প্রশস্ত পথে চলাফেরা করতে পার। (সূরা নূহ- ১৯, ২০)

পৃথিবীতে নদী-নালা তৈরি করেছেন :

اَ مَّنْ جَعَلَ الْاَرْضَ قَرَارًا وَّجَعَلَ خِلَالَهَاۤ اَنْهَارًا

কে সেই সত্তা, যিনি পৃথিবীকে বসবাসের উপযোগী করেছেন এবং তার মাঝে প্রবাহিত করেছেন নদী-নালা। (সূরা নামল- ৬১)

দুই সাগরের মধ্যে অন্তরাল সৃষ্টি করেছেন:

وَجَعَلَ بَيْنَ الْبَحْرَيْنِ حَاجِزًا --

আর তিনি দুই সাগরের মধ্যে সৃষ্টি করেছেন অন্তরাল। (সূরা নামল- ৬১)

পৃথিবী জীবিত ও মৃত সবাইকে ধারণ করে :

اَلَمْ نَجْعَلِ الْاَرْضَ كِفَاتًا اَحْيَآءً وَّ اَمْوَاتًا

আমি কি ভূমিকে ধারণকারী করে বানিয়ে রাখিনি, জীবিত ও মৃতদের জন্য? (সূরা মুরসালাত- ২৫, ২৬)

পৃথিবীর সাতটি স্তর রয়েছে :

اَللهُ الَّذِيْ خَلَقَ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ وَّمِنَ الْاَرْضِ مِثْلَهُنَّ

আল্লাহ সেই সত্তা, যিনি সৃষ্টি করেছেন সাত আকাশ ও তাদের অনুরূপ সংখ্যক জমিন। (সূরা তালাক্ব- ১২)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন