hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

২২২
পর্ব- ২৬ : তাক্বওয়া অধ্যায়- ১ : তাক্বওয়ার গুরুত্ব
তাক্বওয়া অর্জনের নির্দেশ :

يَاۤ اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللهَ حَقَّ تُقَاتِهٖ وَلَا تَمُوْتُنَّ اِلَّا وَاَنْتُمْ مُّسْلِمُوْنَ

হে ঈমানদারগণ! তোমরা যথাযথভাবে আল্লাহকে ভয় করো এবং তোমরা মুসলিম না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না। (সূরা আলে ইমরান- ১০২)

জীবনের ভিত্তি গড়তে হবে তাক্বওয়ার উপর :

اَفَمَنْ اَسَّسَ بُنْيَانَهٗ عَلٰى تَقْوٰى مِنَ اللهِ وَرِضْوَانٍ خَيْرٌ اَمْ مَّنْ اَسَّسَ بُنْيَانَهٗ عَلٰى شَفَا جُرُفٍ هَارٍ فَانْهَارَ بِهٖ فِيْ نَارِ جَهَنَّمَؕ وَاللهُ لَا يَهْدِى الْقَوْمَ الظَّالِمِيْنَ

যে ব্যক্তি তার ঘরের ভিত্তি স্থাপন করেছে আল্লাহর ভয় ও তাঁর সন্তুষ্টির উপর- সে ব্যক্তি উত্তম? নাকি ঐ ব্যক্তি উত্তম, যে তার ঘরের ভিত্তি দাঁড় করিয়েছে এমন একটি গর্তের কিনারায়, যার তলায় মাটি নেই। ফলে এটা তাকে সহ (অচিরেই) জাহান্নামের (অতল) আগুনের খাদে গিয়ে পড়বে। আর আল্লাহ কখনো যালিম সম্প্রদায়কে হেদায়াত দেন না। (সূরা তাওবা- ১০৯)

ব্যাখ্যা : নদীর এমন কিনারাকে ‘জুরুফ’ বলা হয়, স্রোতের টানে যার তলা থেকে মাটি সরে গেছে এবং উপরের অংশ কোন নির্ভরতা ছাড়াই দাঁড়িয়ে আছে। যারা আল্লাহকে ভয় না করা এবং তাঁর সন্তুষ্টির পরোয়া না করার উপর নিজেদের কার্যক্রমের ভিত্তি গড়ে তুলে, তাদের জীবন গঠনকে এমন একটি ইমারতের সাথে তুলনা করা হয়েছে, যা অস্থিতিশীল সাগর কিনারে নির্মাণ করা হয়েছে। এ উপমাটির সাথে দুনিয়ার জীবনের এ বাহ্যিক স্তরটিরও হুবহু মিল রয়েছে। এ স্তরটির উপরই আমরা সবাই আমাদের জীবনের যাবতীয় কার্যক্রমের ইমারত নির্মাণ করি। অথচ এর কোন স্থায়িত্ব নেই। বরং আল্লাহর ভয়, তাঁর সামনে জবাবদিহির অনুভূতি এবং তাঁর সন্তুষ্টি অনুযায়ী চলার শক্ত পাথরখন্ড যে কাজের ইমারতের নিচে বসানো থাকে, কেবল সে কাজটিই মজবুত ও স্থিতিশীল হয়। যে অজ্ঞ ও অপরিণামদর্শী মানুষ আল্লাহর ভয়ে ভীত না হয়ে এবং তাঁর সন্তুষ্টি লাভের পরোয়া না করে নিছক দুনিয়ার জীবনের বাহ্যিক অবস্থার উপর ভরসা করে দুনিয়ায় কাজ করে যায়, সে আসলে নিজের জীবন গঠনের বুনিয়াদ গোড়া থেকেই ভিত্তিহীন করে দেয়। ভিত্তিহীন যে উপরিস্তরের উপর সে তার সারা জীবনের সঞ্চয় জমা করেছে, একদিন হঠাৎ তা ধ্বসে পড়বে এবং তাকে তার জীবনের সমস্ত সম্পদসহ ধ্বংস করে দেবে।

তাক্বওয়া হলো মর্যাদার মাপকাঠি :

اِنَّ اَكْرَمَكُمْ عِنْدَ اللهِ اَتْقَاكُمْؕ اِنَّ اللهَ عَلِيْمٌ خَبِيْرٌ

নিশ্চয় আল্লাহর কাছে তোমাদের মধ্যে তারাই অধিক সম্মানিত এবং যারা বেশি আল্লাহভীরু। নিশ্চয় আল্লাহ সবকিছু সম্পর্কে জানেন ও সবকিছুর খবর রাখেন। (সূরা হুজুরাত- ১৩)

তাক্বওয়া ইবাদাতের সারবস্তু :

لَنْ يَّنَالَ اللهَ لُحُوْمُهَا وَلَا دِمَآؤُهَا وَلٰكِنْ يَّنَالُهُ التَّقْوٰى مِنْكُمْ

আল্লাহর নিকট তার গোশত এবং রক্ত কিছুই পৌঁছে না, বরং তোমাদের তাক্বওয়াটাই তাঁর নিকট পৌঁছে।

(সূরা হজ্জ- ৩৭)

তাক্বওয়া দ্বারা আল্লাহর রহমত লাভ হয় :

وَرَحْمَتِيْ وَسِعَتْ كُلَّ شَيْءٍؕ فَسَأَكْتُبُهَا لِلَّذِيْنَ يَتَّقُوْنَ وَيُؤْتُوْنَ الزَّكَاةَ وَالَّذِيْنَ هُمْ بِاٰيَاتِنَا يُؤْمِنُوْنَ

আমার দয়া প্রত্যেক বস্তুতে ব্যাপ্ত। সুতরাং আমি সেটা তাদের জন্য নির্ধারিত করব যারা তাক্বওয়া অবলম্বন করে, যাকাত দেয় এবং আমার নিদর্শনসমূহের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে। (সূরা আ‘রাফ- ১৫৬)

তাক্বওয়া মানুষকে আল্লাহর বন্ধু বানায় :

اَلَاۤ اِنَّ اَوْلِيَآءَ اللهِ لَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُوْنَ اَلَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَكَانُوْا يَتَّقُوْنَ

জেনে রেখো! নিশ্চয় আল্লাহর বন্ধুদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না। (তারা হচ্ছে ঐসব ব্যক্তি) যারা ঈমান আনয়ন করে এবং তাক্বওয়া অবলম্বন করে। (সূরা ইউনুস- ৬২, ৬৩)

তাক্বওয়া জাহান্নাম থেকে বাঁচার উপায় :

وَاِنْ مِّنْكُمْ اِلَّا وَارِدُهَاۚ كَانَ عَلٰى رَبِّكَ حَتْمًا مَّقْضِيًّا ثُمَّ نُنَجِّى الَّذِيْنَ اتَّقَوْا وَّنَذَرُ الظَّالِمِيْنَ فِيْهَا جِثِيًّا

তোমাদের প্রত্যেকেই সেটা (পুলসিরাত) অতিক্রম করবে; এটা তোমার প্রতিপালকের অনিবার্য সিদ্ধান্ত। পরে আমি মুত্তাক্বীদেরকে উদ্ধার করব এবং যালিমদেরকে সেথায় নতজানু অবস্থায় রেখে দেব। (সূরা মারইয়াম- ৭১, ৭২)

তাক্বওয়া জান্নাত লাভের মাধ্যম :

وَسِيْقَ الَّذِيْنَ اتَّقَوْا رَبَّهُمْ اِلَى الْجَنَّةِ زُمَرًا

যারা তাদের প্রতিপালককে ভয় করত, তাদেরকে দলে দলে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে। (সূরা যুমার- ৭৩)

তাক্বওয়া শয়তানের ধোঁকাবাজি ধরিয়ে দেয় :

اِنَّ الَّذِيْنَ اتَّقَوْا اِذَا مَسَّهُمْ طَآئِفٌ مِّنَ الشَّيْطَانِ تَذَكَّرُوْا فَاِذَا هُمْ مُّبْصِرُوْنَ

যারা তাক্বওয়ার অধিকারী হয় তাদেরকে শয়তান যখন কুমন্ত্রণা দেয় তখন তারা আল্লাহকে স্মরণ করে এবং তৎক্ষণাৎ তাদের চক্ষু খুলে যায়। (সূরা আ‘রাফ- ২০১)

ব্যাখ্যা : যারা প্রকৃতপক্ষে আল্লাহকে ভয় করে এবং অসৎকাজ থেকে দূরে থাকতে চায় তাদের মনে যদি কখনো অসৎ চিন্তার সামান্যতম স্পর্শও লাগে, তাহলে তা তাদের মনকে ঠিক তেমনিভাবে আহত করে যেমন চোখে বালি পড়লে মানুষ যন্ত্রণাবোধ করে। তাদের বিবেক জেগে উঠে এবং তারা অসৎ প্রবণতার এ ধূলোমাটি ঝেড়ে ফেলার কাজে লেগে যায়। অন্যদিকে যারা আল্লাহকে ভয় করে না, অসৎকাজ থেকে বাঁচতেও চায় না এবং শয়তানকে সাথে রেখে চলে, তাদের মনে অসৎ চিন্তা ও অসৎ উদ্দেশ্য পরিপক্কতা লাভ করতে থাকে এবং তারা এসব পঁচা দুর্গন্ধময় আবর্জনায় কোন প্রকার অস্বস্তি অনুভব করে না।

তাক্বওয়া সত্য-মিথ্যা যাচাইয়ের কষ্ঠিপাথর :

يَاۤ اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْاۤ اِنْ تَتَّقُوا اللهَ يَجْعَلْ لَّكُمْ فُرْقَانًا وَّيُكَفِّرْ عَنْكُمْ سَيِّئَاتِكُمْ وَيَغْفِرْ لَكُمْؕ وَاللهُ ذُو الْفَضْلِ الْعَظِيْمِ

হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, তবে আল্লাহ তোমাদেরকে ন্যায়-অন্যায় পার্থক্য করার শক্তি দেবেন, তোমাদের পাপ মোচন করবেন এবং তোমাদেরকে ক্ষমা করবেন। আল্লাহ অতিশয় মঙ্গলময়। (সূরা আনফাল- ২৯)

ব্যাখ্যা : যদি তোমরা দুনিয়ায় আল্লাহকে ভয় করে কাজ করতে থাক তাহলে তিনি তোমাদের মধ্যে এমন পার্থক্যকারী শক্তি সৃষ্টি করে দেবেন, যার ফলে তোমরা পদে পদে জানতে পারবে যে, কোন্ কর্মনীতিটা ভুল এবং কোন্টা নির্ভুল। জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে তোমাদের অন্তর্দৃষ্টি বলে দেবে যে, কোন্ দিকে চলা উচিত এবং কোন্ দিকে চলা উচিত নয়। কোন্টি প্রকৃত সত্যের পথ, যা আল্লাহর দিকে নিয়ে যায় এবং কোনটি মিথ্যা ও অসত্যের পথ, যা শয়তানের সাথে সম্পর্ক জুড়ে দেয়।

তাক্বওয়া উন্নতি লাভের উপায় :

وَلَوْ اَنَّ اَهْلَ الْقُرٰۤى اٰمَنُوْا وَاتَّقَوْا لَفَتَحْنَا عَلَيْهِمْ بَرَكَاتٍ مِّنَ السَّمَآءِ وَالْاَرْضِ وَلٰكِنْ كَذَّبُوْا فَاَخَذْنَاهُمْ بِمَا كَانُوْا يَكْسِبُوْنَ

যদি সেসব জনপদের অধিবাসীরা ঈমান আনত ও তাক্বওয়া অবলম্বন করত, তবে আমি তাদের জন্য আসমান ও জমিনের সকল কল্যাণ উন্মুক্ত করে দিতাম, কিন্তু তারা তা প্রত্যাখ্যান করেছিল। সুতরাং তাদের কৃতকর্মের জন্য তাদেরকে শাস্তি দিয়েছি। (সূরা আ‘রাফ- ৯৬)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন