hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১৬১
অধ্যায়- ২ : হারাম মহিলা
যে সকল মহিলাকে বিয়ে করা হারাম :

حُرِّمَتْ عَلَيْكُمْ اُمَّهَاتُكُمْ وَبَنَاتُكُمْ وَاَخَوَاتُكُمْ وَعَمَّاتُكُمْ وَخَالَاتُكُمْ وَبَنَاتُ الْاَخِ وَبَنَاتُ الْاُخْتِ وَاُمَّهَاتُكُمُ اللَّاتِۤيْ اَرْضَعْنَكُمْ وَاَخَوَاتُكُمْ مِّنَ الرَّضَاعَةِ وَاُمَّهَاتُ نِسَآئِكُمْ وَرَبَآئِبُكُمُ اللَّاتِيْ فِيْ حُجُوْرِكُمْ مِّنْ نِّسَآئِكُمُ اللَّاتِيْ دَخَلْتُمْ بِهِنَّؗ فَاِنْ لَّمْ تَكُوْنُوْا دَخَلْتُمْ بِهِنَّ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْؗ وَحَلَآئِلُ اَبْنَآئِكُمُ الَّذِيْنَ مِنْ اَصْلَابِكُمْ وَاَنْ تَجْمَعُوْا بَيْنَ الْاُخْتَيْنِ اِلَّا مَا قَدْ سَلَفَؕ اِنَّ اللهَ كَانَ غَفُوْرًا رَّحِيْمًا

তোমাদের জন্য তোমাদের মাতা, কন্যা, বোন, ফুফু, খালা, ভাতিজী, ভাগিনী, দুধমাতা, দুধবোন ও শাশুড়িকে (বিবাহ করা) হারাম করা হয়েছে। আর তোমাদের স্ত্রীদের পূর্ব স্বামীর কন্যা, যারা তোমাদের অভিভাবকত্বে আছে; যদি তোমরা ঐ স্ত্রীদের সাথে মিলন করে থাক (তবে তাদেরকে বিবাহ করা হারাম করা হয়েছে)। কিন্তু যদি তোমরা মিলন না করে থাক, তবে (তাদেরকে বিবাহ করাতে) কোন দোষ নেই। তোমাদের ঔরসজাত পুত্রবধু এবং দু’বোনকেও একসাথে বিয়ে করা হারাম করা হয়েছে। তবে আগে যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল ও অতি দয়ালু। (সূরা নিসা- ২৩)

ব্যাখ্যা : মা বলতে আপন মা ও সৎ মা উভয়কেই বুঝায়। তাই উভয়ই হারাম। এছাড়া পিতার মা ও মায়ের মা অর্থাৎ দাদী ও নানীও এ হারামের অন্তর্ভুক্ত। নাতনী ও দৌহিত্রীও কন্যার অন্তর্ভুক্ত। সহোদর বোন, বৈপিত্রেয় বোন ও বৈমাত্রেয় বোন- তিনজনই সমানভাবে এ নির্দেশের আওতাধীন। বাপ ও মায়ের সহোদর বোন, বৈপিত্রেয় ও বৈমাত্রেয় যে পর্যায়েরই হোক না কেন তারা অবশ্যই পুত্রের জন্য হারাম। অনুরূপভাবে সহোদর ভাই ও বোন, বৈপিত্রেয় ও বৈমাত্রেয় যে কোন পর্যায়েরই হোক না কেন তাদের কন্যারা নিজের কন্যার মতোই হারাম। একটি ছেলে বা মেয়ে যে স্ত্রীলোকের দুধ পান করে তার জন্য ঐ স্ত্রীলোকটি মায়ের পর্যায়ভুক্ত। আর তার স্বামী বাপের পর্যায়ভুক্ত হয়ে যায়। সুতরাং প্রকৃত পিতামাতার সম্পর্কের কারণে যে সমস্ত আত্মীয়তা হারাম হয়ে যায়, দুধ মা ও দুধ বাপের সম্পর্কের কারণেও সেসব আত্মীয়তা তার জন্য হারাম হয়ে যায়। কোন ব্যক্তি যাকে পালকপুত্র হিসেবে গ্রহণ করেছে, তার বিধবা বা তালাক প্রাপ্তা স্ত্রী ঐ ব্যক্তির জন্য হারাম নয়। কেবল নিজের ঔরসজাত পুত্রের স্ত্রীই বাপের জন্য হারাম। এভাবে পুত্রের ন্যায় প্রপুত্র ও দৌহিত্রের স্ত্রীও দাদা ও নানার জন্য হারাম। দুই মহিলার মধ্যে খালা ও ভাগিনী অথবা ফুফু ও ভাইঝির সম্পর্ক হলে তাদেরকে এক সাথে বিয়ে করা হারাম। এ ব্যাপারে একটি মূলনীতি রয়েছে। সেটি হচ্ছে, এমন ধরনের দু’টি মেয়েকে একত্রে বিয়ে করা হারাম, যাদের একজন যদি পুরুষ হতো তাহলে তাদের মধ্যে বিয়ে হারাম হতো।

সৎ মাতা :

وَلَا تَنْكِحُوْا مَا نَكَحَ اٰبَآؤُكُمْ مِّنَ النِّسَآءِ اِلَّا مَا قَدْ سَلَفَؕ اِنَّهٗ كَانَ فَاحِشَةً وَّمَقْتًاؕ وَسَآءَ سَبِيْلًا

তোমাদের বাপ-দাদারা যেসব নারীদেরকে বিয়ে করেছে তোমরা তাদেরকে বিয়ে করো না, তবে আগে যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। নিশ্চয় এটা অশ্লীলতা ও গোনাহের কাজ এবং অত্যন্ত নিকৃষ্ট পন্থা। (সূরা নিসা- ২২)

বিবাহিত মহিলা যার স্বামী আছে :

وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ النِّسَآءِ اِلَّا مَا مَلَكَتْ اَيْمَانُكُمْۚ كِتَابَ اللهِ عَلَيْكُمْ

তোমাদের অধিকারভুক্ত দাস-দাসী ছাড়া অন্যের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ নারীদেরকেও বিয়ে করা হারাম। এটা হলো তোমাদের প্রতি আল্লাহর নির্দেশ। (সূরা নিসা- ২৪)

বিধর্মীদের সাথে বিবাহ জায়েয নেই :

وَلَا تَنْكِحُوا الْمُشْرِكَاتِ حَتّٰى يُؤْمِنَّؕ وَلَاَمَةٌ مُّؤْمِنَةٌ خَيْرٌ مِّنْ مُّشْرِكَةٍ وَّلَوْ اَعْجَبَتْكُمْۚ وَلَا تُنْكِحُوا الْمُشْرِكِيْنَ حَتّٰى يُؤْمِنُوْاؕ وَلَعَبْدٌ مُّؤْمِنٌ خَيْرٌ مِّنْ مُّشْرِكٍ وَّلَوْ اَعْجَبَكُمْ

তোমরা মুশরিক নারীদেরকে বিবাহ করো না, যতক্ষণ না তারা ঈমান আনে। একজন ঈমানদার দাসী একজন স্বাধীন মুশরিক মহিলার চেয়ে উত্তম, যদিও ঐ মুশরিক মহিলা তোমাদেরকে আশ্চর্যান্বিত করে। আর তোমরা (মুমিন নারীদেরকে) মুশরিক পুরুষদের সাথে বিয়ে দিয়ো না, যতক্ষণ না তারা ঈমান আনে। একজন ঈমানদার দাস একজন স্বাধীন মুশরিকের চেয়ে উত্তম, যদিও সে তোমাদেরকে আশ্চর্যান্বিত করে। (সূরা বাক্বারা- ২২১)

মুশরিকদের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক না রাখার কারণ : বিয়েটা নারী ও পুরুষের মধ্যে নিছক একটি যৌন সম্পর্ক নয়; বরং এটি একটি গভীর সাংস্কৃতিক, নৈতিক ও মানসিক সম্পর্ক। মুশরিক স্বামী বা স্ত্রীর ধ্যাণ-ধারণা, চিন্তা-ভাবনা ও আচার-ব্যবহারে কেবলমাত্র মুমিন স্বামী বা স্ত্রীরই নয় বরং তার সমগ্র পরিবার ও পরবর্তী বংশধররাও প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ধরনের দাম্পত্য জীবনের ফলশ্রুতিতে ইসলাম, কুফর ও শিরকের এমন একটি মিশ্রিত জীবনধারা লালিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, যাকে অমুসলিমরা যতই পছন্দ করুক না কেন ইসলাম তাকে পছন্দ করে না। কোন খাঁটি মুমিন কেবল নিজের যৌন লালসা পরিতৃপ্তির জন্য কখনো নিজ গৃহে ও পরিবারে কুফর ও শিরক লালন করতে পারে না।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন