hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৫৮৫
অধ্যায়- ১৩ : মুহাম্মাদ ﷺ এর আনুগত্য করার গুরুত্ব
নবী ﷺ এর আনুগত্য করার নির্দেশ :

وَاَطِيْعُوا اللهَ وَاَطِيْعُوا الرَّسُوْلَ وَاحْذَرُوْاۚ فَاِنْ تَوَلَّيْتُمْ فَاعْلَمُوْاۤ اَنَّمَا عَلٰى رَسُوْلِنَا الْبَلَاغُ الْمُبِيْنُ

তোমরা আল্লাহর আনুগত্য করো ও রাসূলের আনুগত্য করো এবং সতর্ক হও। যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও তবে জেনে রেখো, স্পষ্ট প্রচারই আমার রাসূলের দায়িত্ব। (সূরা মায়েদা- ৯২)

وَاَطِيْعُوا اللهَ وَاَطِيْعُوا الرَّسُوْلَ فَاِنْ تَوَلَّيْتُمْ فَاِنَّمَا عَلٰى رَسُوْلِنَا الْبَلَاغُ الْمُبِيْنُ

তোমরা আল্লাহর আনুগত্য করো এবং তাঁর রাসূল ﷺ এর আনুগত্য করো, যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও তবে আমার রাসূলের দায়িত্ব শুধু স্পষ্টভাবে প্রচার করা। (সূরা তাগাবুন- ১২)

يَاۤ اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْاۤ اَطِيْعُوا اللهَ وَرَسُوْلَهٗ وَلَا تَوَلَّوْا عَنْهُ وَاَنْتُمْ تَسْمَعُوْنَ

হে মুমিনগণ! আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করো। যখন তোমরা তাঁর কথা শ্রবণ কর তখন তা হতে মুখ ফিরিয়ে নিয়ো না। (সূরা আনফাল- ২০)

মুহাম্মাদ ﷺ এর আনুগত্যই আল্লাহর আনুগত্য :

مَنْ يُّطِعِ الرَّسُوْلَ فَقَدْ اَطَاعَ اللهَۚ وَمَنْ تَوَلّٰى فَمَاۤ اَرْسَلْنَاكَ عَلَيْهِمْ حَفِيْظًا

যে ব্যক্তি রাসূলের আনুগত্য করল সে তো আল্লাহরই আনুগত্য করল এবং যে ব্যক্তি মুখ ফিরিয়ে নিল তবে (মনে রেখো) তোমাকে তাদের উপর তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে প্রেরণ করিনি। (সূরা নিসা- ৮০)

নবী ﷺ এর ফায়সালা মেনে নেয়া বাধ্যতামূলক:

وَمَا كَانَ لِمُؤْمِنٍ وَّلَا مُؤْمِنَةٍ اِذَا قَضَى اللهُ وَرَسُوْلُهٗۤ اَمْرًا اَنْ يَّكُوْنَ لَهُمُ الْخِيَرَةُ مِنْ اَمْرِهِمْؕ وَمَنْ يَّعْصِ اللهَ وَرَسُوْلَهٗ فَقَدْ ضَلَّ ضَلَالًا مُّبِيْنًا

কোন মুমিন পুরুষ কিংবা মুমিন নারীর জন্য এ অবকাশ নেই যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যখন কোন কাজের নির্দেশ দেন, তখন সে কাজে তাদের কোন নিজস্ব সিদ্ধান্তের অধিকার থাকবে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে অমান্য করে সে তো প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতায় নিপতিত হয়। (সূরা আহযাব- ৩৬)

ব্যাখ্যা : যে বিষয়ে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পক্ষ থেকে কোন হুকুম প্রমাণিত হয়, সে বিষয়ে কোন মুসলিম ব্যক্তি, জাতি, প্রতিষ্ঠান, আদালত, পার্লামেন্ট বা রাষ্ট্রের নিজের মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকে না। মুসলিম হওয়ার অর্থই হচ্ছে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সামনে নিজের স্বাধীন ইখতিয়ার বিসর্জন দেয়া। যে ব্যক্তি মুসলিম হিসেবে বেঁচে থাকতে চায় তাকে অবশ্যই আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সামনে আনুগত্যের শির নত করতে হবে। আর যে নত করতে চায় না, সে মুসলিম নয়। যে ব্যক্তি তার কামনা-বাসনাকে রাসূল ﷺ এর আনীত দ্বীনের আয়ত্তে সীমাবদ্ধ করতে না পারবে, সে কখনই ঈমানদার হতে পারবে না। এটা ঈমানের প্রাথমিক ও মৌলিক দাবী। যে ব্যক্তি আল্লাহকে তার রব এবং আল্লাহর রাসূলকে তার পথপ্রদর্শনকারী হিসেবে মানে, সে নিজের মতামত ও ধ্যান-ধারণাকে কখনো আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সিদ্ধান্তের উপর অগ্রাধিকার দিতে পারে না, সে বিভিন্ন ব্যাপারে স্বাধীন মতামত পোষণ করে না এবং ঐসব ব্যাপারে নিজেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে না। বরং আল্লাহ ও তাঁর রাসূল ঐসব ব্যাপারে কোন দিকনির্দেশনা দিয়েছেন কি না এবং দিয়ে থাকলে কী দিয়েছেন সে বিষয়ে আগে জানার চেষ্টা করবে। এ নির্দেশটি শুধু মুসলিমদের ব্যক্তিগত ব্যাপারসমূহের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং তাদের পুরো সামাজিক ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য। মুসলিমদের সরকার, বিচারালয় এবং পার্লামেন্ট কোনকিছুই এ আইনের বাইরে নয়। যদি কেউ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য থেকে মুক্ত হয়ে স্বেচ্ছাচারী হওয়ার নীতি গ্রহণ করে কিংবা নিজের মতামত ও ধ্যান-ধারণাকে তাদের নির্দেশের চেয়ে অগ্রাধিকার দান করে তাহলে তার বুঝা-পড়া হবে সেই আল্লাহর সাথে, যিনি তোমাদের সব কথা শুনছেন এবং মনের অভিপ্রায় সম্পর্কেও অবগত আছেন।

নবী ﷺ এর অনুসরণের মধ্যেই আল্লাহর ভালোবাসা নিহিত :

قُلْ اِنْ كُنْتُمْ تُحِبُّوْنَ اللهَ فَاتَّبِعُوْنِيْ يُحْبِبْكُمُ اللهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوْبَكُمْؕ وَاللهُ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ

তাদেরকে বলে দাও, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসতে চাও তবে আমার অনুসরণ করো। (যদি কর) তাহলে আল্লাহও তোমাদেরকে ভালোবাসবেন এবং তোমাদের গোনাহসমূহ ক্ষমা করে দেবেন। আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু। (সূরা আলে ইমরান- ৩১)

নবী ﷺ এর আদেশ-নিষেধ মেনে চলার নির্দেশ :

وَمَاۤ اٰتَاكُمُ الرَّسُوْلُ فَخُذُوْهُۗ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوْاۚ وَاتَّقُوا اللهَؕ اِنَّ اللهَ شَدِيْدُ الْعِقَابِ

রাসূল তোমাদেরকে যা দেয় তা তোমরা গ্রহণ করো এবং যা হতে তোমাদেরকে নিষেধ করে তা হতে বিরত থাকো। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় করো; নিশ্চয় আল্লাহ শাস্তি দানে খুবই কঠোর। (সূরা হাশর- ৭)

ব্যাখ্যা : মুসলিমগণ সবসময় সব ব্যাপারেই রাসূল ﷺ এর আনুগত্য করবে। রাসূল ﷺ বলেছেন, ‘‘আমি কোন বিষয়ে তোমাদের নির্দেশ দিলে তা যথাসাধ্য পালন করো। আর যে বিষয়ে বিরত থাকতে বলি তা থেকে দূরে থাকো।’’ (সহীহ বুখারী, হা/৭২৮৮; সহীহ মুসলিম, হা/৩৩২১)

আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) একবার বক্তৃতাকালে বললেন, ‘‘আল্লাহ তা‘আলা অমুক অমুক ফ্যাশনকারিণী মহিলাকে লানত করেছেন।’’ এটা শুনে এক মহিলা বলল, এ কথা আপনি কোথায় পেয়েছেন? তিনি বললেন, তুমি আল্লাহর কিতাব পড়ে থাকলে এ কথা অবশ্যই পেতে। তুমি কি এ আয়াত وَمَاۤ اٰتَاكُمُ الرَّسُوْلُ فَخُذُوْهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوْا পড়েছ? সে বলল, হ্যাঁ- এ আয়াত তো আমি পড়েছি। আবদুল্লাহ (রাঃ) বললেন, রাসূল ﷺ এ কাজ করতে নিষেধ করেছেন এবং জানিয়ে দিয়েছেন যে, এরূপ কাজে লিপ্ত নারীদের উপর আল্লাহ তা‘আলা লানত করেছেন। তখন মহিলাটি বলল, এখন আমি বুঝতে পারলাম। (সহীহ বুখারী, হা/৪৮৮৬, সহীহ মুসলিম, হা/৫৬৯৫)

নবী ﷺ এর আনুগত্যকারীরা হেদায়াতের উপর প্রতিষ্ঠিত হবে :

فَاٰمِنُوْا بِاللهِ وَرَسُوْلِهِ النَّبِيِّ الْاُمِّيِّ الَّذِيْ يُؤْمِنُ بِاللهِ وَكَلِمَاتِه وَاتَّبِعُوْهُ لَعَلَّكُمْ تَهْتَدُوْنَ

সুতরাং তোমরা ঈমান আনো আল্লাহর প্রতি ও তাঁর বার্তাবাহক উম্মী নবীর প্রতি, যিনি আল্লাহ ও তাঁর বাণীর প্রতি ঈমান আনেন। আর তোমরা তাঁর অনুসরণ করো, যাতে তোমরা সঠিক পথ পেতে পার। (সূরা আ‘রাফ- ১৫৮)

وَاِنْ تُطِيْعُوْهُ تَهْتَدُوْاؕ وَمَا عَلَى الرَّسُوْلِ اِلَّا الْبَلَاغُ الْمُبِيْنُ

যদি তোমরা তার আনুগত্য কর তবে সৎপথ পাবে; আর রাসূলের কাজ তো কেবল স্পষ্টভাবে পৌঁছে দেয়া। (সূরা নূর- ৫৪)

তারা সফলকাম হবে :

وَمَنْ يُّطِعِ اللهَ وَرَسُوْلَهٗ وَيَخْشَ اللهَ وَيَتَّقْهِ فَاُولٰٓئِكَ هُمُ الْفَآئِزُوْنَ

যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে, আল্লাহকে ভয় করে এবং তাঁর অবাধ্যতা হতে সাবধান থাকে তারাই সফলকাম। (সূরা নূর- ৫২)

وَمَنْ يُّطِعِ اللهَ وَرَسُوْلَهٗ فَقَدْ فَازَ فَوْزًا عَظِيْمًا

যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে, সে তো মহাসাফল্য লাভ করবে। (সূরা আহযাব- ৭১)

তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে :

وَمَنْ يُّطِعِ اللهَ وَرَسُوْلَهٗ يُدْخِلْهُ جَنَّاتٍ تَجْرِيْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهَارُ خَالِدِيْنَ فِيْهَاؕ وَذٰلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيْمُ

যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে, তাকে তিনি এমন জান্নাতে প্রবেশ করাবেন, যার তলদেশ দিয়ে নদীসমূহ প্রবাহমান থাকবে। সেখানে তারা চিরকাল থাকবে; আর এটাই তো মহাসাফল্য। (সূরা নিসা- ১৩)

وَمَنْ يُّطِعِ اللهَ وَرَسُوْلَهٗ يُدْخِلْهُ جَنَّاتٍ تَجْرِيْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهَارُۚ وَمَنْ يَّتَوَلَّ يُعَذِّبْهُ عَذَابًا اَلِيْمًا

যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের কথা মেনে চলবে আল্লাহ তাকে এমন জান্নাতে প্রবেশ করাবেন, যার তলদেশ দিয়ে ঝর্ণাধারা বহমান থাকবে। আর যারা মুখ ফিরিয়ে নেবে তাদেরকে কষ্টদায়ক আযাব দেয়া হবে। (সূরা ফাতহ- ১৭)

তারা নবীগণ ও শ্রেষ্ঠ লোকদের সাথে থাকবেন :

وَمَنْ يُّطِعِ اللهَ وَالرَّسُوْلَ فَاُولٰٓئِكَ مَعَ الَّذِيْنَ اَنْعَمَ اللهُ عَلَيْهِمْ مِّنَ النَّبِيِّيْنَ وَالصِّدِّيْقِيْنَ وَالشُّهَدَآءِ وَالصَّالِحِيْنَۚ وَحَسُنَ اُولٰٓئِكَ رَفِيْقًا

যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং তার রাসূলের আনুগত্য করবে সে নবী, সত্যনিষ্ঠ, শহীদ ও সৎকর্মপরায়ণ লোকদের সঙ্গী হবে, যাদের প্রতি আল্লাহ অনুগ্রহ করেছেন; আর তারা কতই না উত্তম সঙ্গী! (সূরা নিসা- ৬৯)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন