hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১৮১
অধ্যায়- ৩ : নারীর পর্দা রক্ষায় পুরুষদের ভূমিকা
নারীর সামনে না গিয়ে আড়াল থেকে কাজ সমাধা করতে হবে :

وَاِذَا سَاَلْتُمُوْهُنَّ مَتَاعًا فَاسْاَلُوْهُنَّ مِنْ وَّرَآءِ حِجَابٍ ذٰلِكُمْ اَطْهَرُ لِقُلُوْبِكُمْ وَقُلُوْبِهِنَّ

তোমরা যখন নবীর স্ত্রীদের কাছ থেকে কোনকিছু চাইবে, তখন পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্য এবং তাদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্র উপায়। (সূরা আহযাব- ৫৩)

চোখ ও লজ্জাস্থানের হেফাজত করতে হবে :

قُلْ لِّلْمُؤْمِنِيْنَ يَغُضُّوْا مِنْ اَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوْا فُرُوْجَهُمْؕ ذٰلِكَ اَزْكٰى لَهُمْؕ اِنَّ اللهَ خَبِيْرٌ ۢبِمَا يَصْنَعُوْنَ

মুমিনদেরকে বলো, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত করে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করে, এটাই তাদের জন্য উত্তম। তারা যা করে নিশ্চয় আল্লাহ সে বিষয়ে সম্যক অবহিত। (সূরা নূর- ৩০)

চোখের ব্যাপারে আল্লাহর সতর্কবাণী :

يَعْلَمُ خَآئِنَةَ الْاَعْيُنِ وَمَا تُخْفِى الصُّدُوْرُ

চক্ষুর অপব্যবহার ও অন্তরে যা গোপন আছে সে সম্বন্ধে তিনি অবহিত। (সূরা মু’মিন- ১৯)

اِنَّ السَّمْعَ وَالْبَصَرَ وَالْفُؤَادَ كُلُّ أُولٰٓئِكَ كَانَ عَنْهُ مَسْئُوْلًا

কর্ণ, চক্ষু ও হৃদয় এগুলোর প্রত্যেকটি সম্পর্কে কৈফিয়ত তলব করা হবে। (সূরা বনী ইসরাঈল- ৩৬)

অনুমতি ছাড়া অন্যের ঘরে প্রবেশ করবে না :

يَاۤ اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَا تَدْخُلُوْا بُيُوْتًا غَيْرَ بُيُوْتِكُمْ حَتّٰى تَسْتَأْنِسُوْا وَتُسَلِّمُوْا عَلٰۤى اَهْلِهَاؕ ذٰلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ لَعَلَّكُمْ تَذَكَّرُوْنَ

হে মুমিনগণ! তোমরা নিজেদের গৃহ ব্যতীত অন্য কারো গৃহে গৃহবাসীদের অনুমতি না নিয়ে এবং তাদেরকে সালাম না দিয়ে প্রবেশ করো না। এটাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যেন তোমরা উপদেশ গ্রহণ কর। (সূরা নূর- ২৭)

ব্যাখ্যা : আয়াতের অর্থ হলো, তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত লোকদের গৃহে প্রবেশ করো না, যতক্ষণ পর্যন্ত না তাদের সম্মতি জেনে নিতে পারবে। অতঃপর যদি জানতে পার যে, গৃহমালিক তোমার আগমনকে অপছন্দ মনে করছে না তবে তার গৃহে পবেশ করবে; নতুবা তা হতে বিরত থাকবে।

জাহেলী যুগে আরবদের নিয়ম ছিল, তারা حُيِّيْتُمْ صَبَاحًا ، حُيِّيْتُمْ مَّسَاءً (সুপ্রভাত, শুভ সন্ধ্যা) বলতে বলতে নির্দ্বিধায় একজন অন্যজনের গৃহে ঢুকে যেত। অনেক সময় বহিরাগত ব্যক্তি গৃহমালিক ও তার বাড়ির মহিলাদেরকে অমার্জনীয় অবস্থায় দেখে ফেলত। ফলে তা উভয় পক্ষের লজ্জার কারণে পরিণত হতো। আল্লাহ এটা সংশোধনের জন্য এ নীতি নির্ধারণ করেন যে, প্রত্যেক ব্যক্তির ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা করার অধিকার রয়েছে। সুতরাং তার অনুমতি ছাড়া এ গোপনীয়তায় হস্তক্ষেপ করা অন্য ব্যক্তির জন্য জায়েয নয়। এ হুকুমটি নাযিল হওয়ার পর নবী ﷺ ব্যক্তিগত গোপনীয়তার এ অধিকারকে কেবল গৃহের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখেননি; বরং এটিকে প্রতিটি লোকের জন্য একটি সাধারণ অধিকার বলে গণ্য করেন। এ প্রেক্ষিতে অন্যের গৃহে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করা, অন্যের গৃহে উঁকি মারা, বাহির থেকে দেখা, অন্যের চিঠি অথবা ডায়েরী বিনা অনুমতিতে পড়ে নেয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। নবী ﷺ বলেছেন, ‘‘যদি কোন ব্যক্তি তোমার গৃহে উঁকি মারে এবং তুমি একটি কঙ্কর মেরে তার চোখ কানা করে দাও, তাহলে তাতে কোন গোনাহ হবে না।’’ (সহীহ বুখারী, হা/৬৮৮৮; মুসিলম, হা/৫৭৬৯)

অত্র হাদীসে কাউকে খাস বা নির্দিষ্ট করা হয়নি। সুতরাং মা-বাবা, ভাই-বোন, সন্তান-সন্ততি, বন্ধু-বান্ধুব, আত্মীয়স্বজন, কাজের লোক, সাধারণ জনগণ সকলেই এর অন্তর্ভুক্ত। তবে নিজ স্বামী অথবা স্ত্রীর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত গোপনীয়তার জন্য অন্ততপক্ষে একটু আওয়াজ দিয়ে যেতে বলা হয়েছে। যায়নাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) যখনই গৃহে আসতেন তখন আগেই এমন কোন আওয়াজ দিতেন, যাতে তিনি আসছেন বলে জানা যেত। আর তিনি হঠাৎ ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়া পছন্দ করতেন না।

নিজের স্ত্রী ছাড়া অন্যত্র লজ্জাস্থান ব্যবহার করা হারাম :

وَالَّذِيْنَ هُمْ لِفُرُوْجِهِمْ حَافِظُوْنَ اِلَّا عَلٰۤى اَزْوَاجِهِمْ اَوْ مَا مَلَكَتْ اَيْمَانُهُمْ فَاِنَّهُمْ غَيْرُ مَلُوْمِيْنَ فَمَنِ ابْتَغٰى وَرَآءَ ذٰلِكَ فَاُولٰٓئِكَ هُمُ الْعَادُوْنَ

যারা নিজেদের স্ত্রী অথবা অধিকারভুক্ত দাসীগণ ব্যতীত অন্য সকলের কাছ থেকে নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে, তারা নিন্দনীয় হবে না। কিন্তু কেউ যদি তাদেরকে ছাড়া অন্য কাউকে কামনা করে, তবে তারা সীমালঙ্ঘনকারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। (সূরা মু’মিনূন- ৫, ৭)

ব্যাখ্যা : বৈধ স্থানে নিজের প্রবৃত্তির কামনা পূর্ণ করা কোন নিন্দনীয় কাজ নয়। তবে কাম প্রবৃত্তি পূর্ণ করার জন্য বৈধ পথ এড়িয়ে অন্য কোন পথে চলা অবশ্যই গোনাহের কাজ। লজ্জাস্থান হেফাজত করার হুকুম থেকে দু’ধরনের স্ত্রীলোককে বাদ দেয়া হয়েছে।

(এক) স্ত্রী, যার প্রতিশব্দে আরবি ভাষায় اَزْوَاجٌ (আযওয়াজ) শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। আর اَزْوَاجٌ (আযওয়াজ) শব্দটি কেবলমাত্র এমনসব নারীকে বুঝায় যাদেরকে যথানিয়মে বিবাহ করা হয়েছে।

(দুই) বাঁদী, যাকে কুরআনে مَا مَلَكَتْ اَيْمَانَكُمْ বাক্য দ্বারা ইঙ্গিত করা হয়েছে। আর مَا مَلَكَتْ اَيْمَانَكُمْ বলতে এমন বাঁদীকে বুঝায়, যার উপর মানুষের মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। উল্লেখিত দু’টি বৈধ ব্যবস্থা ছাড়া যিনা বা সমকাম অথবা পশু-সঙ্গম কিংবা কাম প্রবৃত্তি চরিতার্থ করার জন্য অন্য যা কিছুই হোক না কেন সবই হারাম করা হয়েছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন